মহাশূন্যে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করছে চীন

প্রকাশঃ মার্চ ৩০, ২০১৫ সময়ঃ ৬:১০ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৬:১০ অপরাহ্ণ

প্রযুক্তি ডেস্ক, প্রতিক্ষন ডট কম.

0,,16211759_303,00এবার মহাশূন্যে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করতে যাচ্ছে চীন। মাটি থেকে প্রায় ৩৬ হাজার কিলোমিটার উপরে স্থাপন করা হবে এ বিদ্যুৎকেন্দ্র। আর এমনই কল্পনা করেছিলেন, বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রির অধ্যাপক ও সায়েন্স ফিকশন লেখক আইজ্যাক আজিমভ।

১৯৪১ সালে ‘রিজন’ শিরোনামে একটি ছোট গল্পে তিনি মহাশূন্যে সৌরশক্তি পরিচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের ধারণার কথা প্রথম উল্লেখ করেন। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি আসলে বিশাল একটি উপগ্রহ, যা পৃথিবীর আবর্তনের সাথে সমন্বয় করে পৃথিবীর চারপাশে নিজ কক্ষপথে আবর্তন করবে। এতে যে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে, তাকে প্রথমে ক্ষুদ্র তরঙ্গে (মাইক্রোওয়েভ) অথবা লেজার রশ্মিতে রূপান্তরিত করা হবে। পৃথিবীতে তা গ্রাহক যন্ত্রের মাধ্যমে গৃহীত হবে। পরবর্তীতে তা আবার বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তরিত করা হবে।

 চীনের প্রথম রকেট ডিজাইনার ওয়াং জিজিই বলেন, এ ধরনের বিদ্যুৎ উৎপাদক কৃত্রিম উপগ্রহ অনেক বড় হওয়াই স্বাভাবিক। এর আয়তন হতে পারে ৫ থেকে ৬ বর্গকিলোমিটার। বেইজিংয়ের সবচেয়ে বড় মিলনকেন্দ্র তিয়ানআনমেন স্কয়ারের চেয়ে এটি অন্তত ১২ গুণ বড় হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, হতে পারে পৃথিবী থেকে খালি চোখেই এটি দেখা যাবে।

ওয়াং আরো বলেন, পৃথিবীর বুকে বসানো সোলার প্যানেলগুলোর কার্যকারিতা আবহাওয়া, দিবা-রাত্রির ওপর নির্ভর করে। কিন্তু মহাশূন্যে এসবের কিছুই নেই। কাজেই সেখানে ৯৯ শতাংশ নিরবচ্ছিন্ন শক্তি উৎপাদন সম্ভব। তবে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে বেশ কিছু সীমাব্ধতাও রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় সীমাবদ্ধতা উপগ্রহের ওজন। এ ধরণের উপগ্রহের আনুমানিক ওজন হবে ১০ হাজার টন। কিন্তু এখন পর্যন্ত সবচেয়ে উন্নত রকেটগুলো একশ’ টন ওজন বহন করতে সক্ষম।

চীনের ভাইস প্রেসিডেন্ট লি মিং জানিয়েছেন, ২০২০ সালের মধ্যে তার দেশ একটি স্পেস স্টেশন তৈরি করবে, যা সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কৃত্রিম উপগ্রহ স্থাপনে বিশেষ সহায়ক হবে।

প্রতিক্ষণ/এডি/রাজন

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G